ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রংপুরে গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Dec 17, 2025 ইং
রংপুরে গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ছবির ক্যাপশন: রংপুরে গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা:
রংপুর প্রতিনিধি মাটি মামুন রংপুর 
রংপুর মাহিগঞ্জ থানাধীন বিহারী গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত  বিরোধ ও ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করার বিষয় নিয়ে ভাই ভাতিজাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি ঘটনা ঘটে এ সময় দুই জন আহত হয়। তাদের কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা  হয়।
এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রংপুর মহানগর প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে পক্ষ বানিয়ে  উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হয়রানী মুলক মামলা করেন। সংবাদকর্মী জাহিদ বলেন,গত ৫ ই ডিসেম্বর ২৫ ইং সকাল ৮ টার দিকে পাভেল নামে এক ব্যক্তি আমাকে খবর দেয় কবিরাজ বাড়ীর সামনে ভাই ভাতিজার মধ্যে সংক্রান্ত ও কবিরাজের নামে ভন্ডামী বন্ধ করা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া লেগেছে। খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মোবারক কবিরাজ ও তার বড় ভাই শাহজানের মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে এসময় মোবারকের দুই পুত্র সুজন ও সজল ঘটনা স্থানে এসে রহিম,ও সরোয়ার কে এলোপাথারি ভাবে মার ড্যাং করেন। এঘটনা আমার ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও ধারণ করতে গেলে মোবারক ও তার দুই পুত্র ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাতে থাকা ডিএসএলআর ক্যানোন ইওএস ৩০০০ ডি ১৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাটি আমার হাত থেকে কেরে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ও হুমকি দেয় যে তোর নামেও মামলা করে তোর সাংবাদিকতা বের করে দেবো। ঘঠনার দুই দিন পর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জানতে পারি আমাকে ২ নং আসামী করে মোট ৮ জনকে বিবাদী দেখিয়ে মোবারক কবিরাজের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম সুজন মাহীগঞ্জ মেট্রো থানায় একটি মামলা দায়ের করে যাহার নং-২/৭৮। পরে গণমাধ্যম কর্মী জাহিদ আদালতের কাছে জামীনের আবেদন করলে মহামান্য আদালত তার জামীন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে,মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মাইদুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে,সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর মামলা যে কারো নামে হতে পারে। তবে দঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়া গেলে চার্জশিট থেকে অটোমেটিক নাম বাদ যাবে।
এদিকে এলাকাবাসী ও মামলার সাক্ষী কপিল উদ্দিন ও লাল মিয়া বলেন সাংবাদিক জাহিদুল ও বাকি ৭ সাত জনকে উদ্দেশ্য প্রণদিত ভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিক তো ঐ ঝগড়া'র সময় তত্ত্ব সংগ্রহ করতে গেছে,তার নামে মামলা কি করে হয়।
মূলত সাংবাদিক ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করতে বলাতে হয়ত তাকে এই মামলায় তাহার ভাতিজা জরিয়েছে বলে মনে হয়। আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে যতোটুকু জানি মামলার বাদীর চাচা জ্যাঠারা সাত ভাই দুই বোন, ৮ জনেই চায় মোবারকের ভন্ড কবিরাজী বন্ধ করতে আর জমিজমা তো বন্টন দলিল মুলে সবাই সমান সমান ভাগ করে নিয়েছে। আসল ঘটনা হলো মোবারক কবিরাজ তাহার ভন্ড কবিরাজী বন্ধ হবে বলে এই ঝগড়ার সুত্রপাত ঘঠায়।
জমি জমা এখানে কোন বিষয় না কারন মোবারক কবিরাজের বিরুদ্ধে  ইতিপূর্বে অনেক নারী কেলেঙ্কারি এমনকি পশু বলাৎকার এর  মতো অনেক ঘঠনা রয়েছে। এলাকার লোকজন তাকে ভন্ড কবিরাজ হিসেবে চেনে ও জানে তাই তাহার সাথে কেউ তেমন একটা মিশে না। সে আমাদের অগোচরে এই মামলার সাক্ষি বানিয়েছে ঘঠনা সম্পুর্ন ভুয়া,মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা,বিষয়টিকে নিয়ে মোবারক ও তাহার বখাটে দুই ছেলে বাড়াবারী করতেছে।

নিউজটি পোস্ট করেছেন : JomunaTV

প্রিন্ট

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য
JomunaTV

JomunaTV

সর্বশেষ সংবাদ
রংপুরে গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা

রংপুরে গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা

https://jomunatv.com
তারিখ: 17 Dec, 2025
রংপুরে গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা